TECHNOLOGY

জেনে রাখুন কম্পিউটার প্রসেসরের সব টেকনোলজি – বিস্তারিত আলোচনা ।।

কম্পিউটার যে যন্ত্রটি দিয়ে তথ্য ও উপাত্ত প্রক্রিয়াকরণের কাজ সম্পাদন করে, তাকেই প্রসেসর বলে। আগের দিনের কম্পিউটারের প্রসেসর গুলো ছিল অনেক বড়। কিন্তু ১৯৭১ সালে মাইক্রোপ্রসেসর আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে ক্ষুদ্র প্রসেসরের যাত্রা শুরু হয়।বর্তমানে প্রসেসর বলতে আমরা মাইক্রোপ্রসেসরকেই বুঝে থাকি।

মাইক্রোপ্রসেসরঃ ল্যাপটপ, সার্ভার কিংবা যে-কোন সাধারণ ডেস্কটপ কম্পিউটারের স্নায়ু কেন্দ্র একটিমাত্র সমন্বিত চিপ- মাইক্রোপ্রসেসর যা কম্পিউটারের সিপিইউ নামে পরিরিচত। প্রকৃতঅর্থে, মাইক্রোপ্রসেসর একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং প্রোগ্রামেবল এমন একটি গাণিতিক ইঞ্জিন যা ইন্সট্রাকশনের মাধ্যমে কম্পিউটারের যাবতীয় অপারেশন নিয়ন্ত্রণ এবং সম্পাদন করে। এই সমন্বিত চিপটি একটি ছোট, পাতলা সিলিকন যার সামান্য কয়েক বর্গমিলিমিটারে কয়েক-কোটি ট্রানজিস্টার থাকে ।

প্রসেসর কম্পিউটারের অন্যতম প্রধান হার্ডওয়্যার,প্রসেসর কম্পিউটারের সকল কাজ করে থাকে,মূলত একেই CPU (Central Processing Unit)বলে,প্রসেসর নির্মাতা প্রতিষ্ঠান গুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হল Intel এবং AMD (Advanced Micro Device) এইদুটি কোম্পানিই ভালো,তবে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং কিছু প্রযুক্তিগত দিক থেকে Intel এগিয়ে রয়েছে,তবে বর্তমানে AMD ও তাদের APU (acceleration processing Unit) প্রসেসরের ম্যাধ্যমে বাজারে সুলভ মূল্যে বেশ কিছু ভাল প্রসেসর এনেছে,যেহেতু প্রসেসর কম্পিউটারের সকল কাজ করে থাকে এবং যার ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ,তাই এটি কেনার সময় বিশেষ সতর্কতা নিতে হবে,প্রসেসরের Clock Speed কত,সেটা লক্ষ্য করতে হবে, ক্লক স্পিড যত বেশি হবে,প্রসেসরের প্রসেসিং ক্ষমতাও ততবেশি হবে,শুধু clock speed নয়, প্রসেসরের Cache Memory (ক্যাশ মেমরি) কত তাও লক্ষ্য করতে হবে,ক্যাশ মেমরির মধ্যে প্রকার ভেদ রয়েছে, এর মধ্যে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ক্যাশ মেমরি হল L3 Cache। আরেকটি গুরুত্ব পূর্ণ বিষয় হল প্রসেসরে কয়টি কোর (core) এবং কয়টি থ্রেড (thread) আছে তাখেয়াল করতে হবে,কোর এবং থ্রেড এর সংখ্যা বেশি হলে স্পিড বাড়বে, এছাড়া FSB (Front Serial Bus) এর পরিমাণ লক্ষ্য করতে হবে, FSB বেশি হলে স্পিড বেশি হবে,তাই মাদার বোর্ডের বাস স্পিডের সাথে মিল রেখে প্রসেসর কেনা উচিৎ,যদিও নতুন প্রসেসর গুলোতে FSB ব্যবহার করা হয় না,এর পরিবর্তে QPI ব্যবহৃত হয়,প্রসেসরের একটি বিশেষ ফিচার হলHyper Threading Technology।কারণ এপ্রযুক্তি Multitasking কাজ করার ক্ষেত্রে বিশেষ কার্যকরী ভুমিকা রাখে,এছাড়া Intel প্রসেসরের ক্ষেত্রেTurbo Boost Technology রয়েছে কিনা তা লক্ষ্য রাখতে হবে, এই প্রযুক্তি বিশেষ বিশেষ প্রয়োজনের সময় প্রসেসরের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে,প্রসেসরের সিরিজ কী,সেটাও খেয়াল রাখার একটি বিষয়,কারণ সিরিজ যত উন্নত হবে, প্রসেসর মান বাড়বে Intel এর প্রথম দিককার প্রসেসর এর মধ্যে রয়েছে, Pentium Series। পরবর্তীতে ধারাবাহিক ভাবে এসেছে Celeron series, Core Series, i Series। তেমনিAMD এর প্রসেসর গুলো হল Sempron, Athlon, AMD Athlon X2, AMD Athlon II X2, AMD Phenom, AMD FX,  AMD APU ইত্যাদি,তাই সবসময় নতুন সিরিজের প্রসেসর কেনা ভাল, কিন্তু প্রসেসরটি যেন আপনার মাদারবোর্ডে সমর্থন করে সে বিষয়টিও লক্ষ্য রাখতে হবে, প্রসেসরে GPU (Graphics Processing Unit) রয়েছে কিনা তা লক্ষ্য রাখতে হবে। প্রয়োজনে অনলাইল থেকে নির্বাচিত মডেলের প্রসেসরের স্পেসিফিকেশন দেখে নিন।

নতুন কম্পিউটার কেনার সময় প্রসেসর নির্বাচনই প্রথম ধাপ আর প্রযুক্তির দ্রুত পরিবর্তন উন্নয়নে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ভার্সন, জেনারেশন ফিচার যুক্ত হচ্ছে প্রসেসর ও কম্পিউটার প্রযুক্তিতে। এজন্য কম্পিউটার বা প্রসেসর কেনার সময় একজন সাধারণ ব্যবহারকারী এমনকি প্রযুক্তি সচেতন মানুষেরাও কনফিউজড হয়ে যান। নিচে প্রসেসরের লেটেস্ট টেকনোলজি, এর নানা ধরণ ও বৈশিষ্ট্য নিয়ে সহজে বোঝার মত একটি আলোচনা করা হল।
প্রথমেই আমাদের প্রসেসরের আধুনিক প্রযুক্তি এর ফিচার বা বৈশিষ্টগুলি জানা দরকার। প্রসেসর কেনার সময় যে গুরুত্বপূর্ণ ফিচারগুলি দেখে কিনবেন –

1. কোর Core: Dual Core, Core2 Duo, Quad Core, Core i3, i5, i7:
Core হলো processor এর একটা অংশ, সেই মূলত হিসাব-নিকাশ করে, নির্দেশ পালন করে! হার্ডওয়্যার সফটওয়্যারের সমন্বয় সাধন করে। সুতরাং, Dual Core processor মানে দাঁড়ায় একের ভেতর দুই! প্রসেসর এর একেকটা কোর একেকটা স্বাধীন সিপিইউ।Core বেশি থাকলে CPU একসাথে অনেক ধরনের কাজ করতে পারবে। যেমন আপনার দুইটা কাজ আছে, একজনকে করতে দিলে দেরি হবে, দুজনকে ভাগ করে দিলে দ্রুত হয়ে যাবে অনেকটা এমন।আবার সব ধরণের সফটওয়্যার/প্রোগ্রাম কাজ করার সময় সবগুলো Core দখল করেনা, কোনো প্রগ্রাম একাধিক Core নিয়ে কাজ করে, যেমন 3D, গেমিং ও ভিডিও প্রডাকশন সফটওয়্যারগুলো। কোনোটা একটাতেই হয়ে যায় ২টা কোর থাকলেও সেটা একটা কোরই দখল করবে। এক এক টি আলাদা সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট যা মেইন সিপিইউ এর অংশ হলেও আলাদা ভাবে একই কাজ করে। উদাহরণ হিসাবে বলা যায় ডুয়েল কোর চিপ। এটি দেখতে একটি একক সিপিইউ চিপ মনে হলেও এর মাঝে দুটি আলাদা ফিজিক্যাল সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট আছে। এর মানে হলো একের ভেতর দুইটি সিপিইউ।  প্রসেসরের একটি কোরের অতিরিক্ত যে কোরগুলো থাকবে সেগুলো মূলত মাল্টি টাস্কিং এ কাজ করে । আপনার যদি একটি সিঙ্গেল কোর পিসি থাকে এবং এটাকে যদি আপনি ডুয়েল কোরে আপগ্রেড করেন তাহলে বুঝতে পারবেন পিসি লক্ষ্যনীয় মাত্রায় দ্রুতগতির হয়ে গেছে। কীভাবে সেটা হচ্ছে চলুন ব্যাখ্যা করা যাক।
“ধরুন আপনি কম্পিউটারে গান শুনছেন এবং একই সাথে ইন্টারনেট ব্রাউজ করছেন। যদি আপনার পিসিতে একটিমাত্র প্রসেসর কোর থাকে তাহলে ইন্টারনেট ব্রাউজার আনরেসপন্সিভ হয়ে যাবে। কারন মিউজিক প্লে করার জন্য যখন একটি প্রসেসর কোর ব্যবহৃত হবে তখন যদি ব্রাউজার অন থাকে তাহলে প্রসেসর কোর এর কাজ দুটি অংশে ভাগ হয়ে যাবে এবং তুলনামূলক বড় কাজটি যথেষ্ট রেসপন্স করতে পারবে না। এক্ষেত্রে দুই বা ততোধিক কোর থাকলে কাজগুলো যথেষ্ট দ্রুত হবে। একাধিক কোর না থাকলে কম্পিউটার কখনোই স্মুথলি কাজ করতে পারবে না।”
আসা করি “কোর” জিনিসটা ক্লিয়ার।
কোর এর সংখ্যা হিসাবে লিস্টঃ
“ডুয়েল কোর – দুটি প্রসেসর ইউনিট, কোয়াড কোর – চারটি প্রসেসর ইউনিট, হেক্সা কোর – ছয়টি প্রসেসর ইউনিট, অক্টা কোর – আটটি প্রসেসর ইউনিট, ডেকা কোর – দশটি প্রসেসর ইউনিট ইত্যাদি।”

2. ক্লক স্পিড Clock Speed:
যেমনটা হৃদস্পন্দন, আপনার কম্পিউটারের হার্ট (প্রসেসর) কত দ্রুত স্পন্দিত হয় সেটাই তার স্পিড বা হার্টজ। বর্তমানের সেটা Giga Hertz [GHz] এ দেয়া থাকে। যেমন Core 2 duo 2.4 GHz, Core i3 4.30 GHz.
আবার Dual Core 2.4 GHz মানে কিন্তু 2×2.0 বা 4 GHz নয়। পাশাপাশি দুইটা গাড়ি ৬০ কি.মি/ ঘন্টায় চললে কি তাদের স্পিড ১২০ কি.মি হয়ে যায়!
শুধু Clock Speed বেশি হলেই যে আপনার কম্পিউটারের গতি বেড়ে যাবে এমন না! এর সাথে Cache Memory সহ আরও কিছু বিষয় জড়িত।তাছাড়া প্রসেসর যেকোনো ইনপুটকে গ্রহন করে এবং একটি আউটপুট জেনারেট করে, সেই আউটপুটকে প্রসেসর কম্পিউটার মেমোরিতে (র‍্যাম) লিখে রাখে। প্রসেসরের গুরুত্বপূর্ণ টার্ম হচ্ছে এই ক্লক। প্রসেসর কোটি ট্র্যানজিস্টর দ্বারা গঠিত হয়, এদেরকে এক একটি সুইচও বলা চলে —কেনোনা এদের কাজ শুধু অন এবং অফ হওয়া আর এভাবেই এরা ডাটা প্রসেস করে। সুইচ এক বার অফ অন হয়ে আরেকবার অফ হলে একে এক ক্লক সাইকেল কাজ করা বলা হয়। ধরুন কোন প্রসেসরে লেখা রয়েছে এর ক্লক স্পীড ২.৮ গিগাহার্জ তবে সেই প্রসেসরে ২.৮ বিলিয়ন ক্লক সাইকেল পূর্ণ হয় এক সেকেন্ডে।

3. ক্যাশ মেমোরি Cache Memory:
কম্পিউটারের সবচেয়ে বড় Memory হলো Hard Disk এরপর RAM, প্রসেসর কাজ করার সময় সবচেয়ে কাছের মেমোরি RAM কে ব্যবহার করতো এরপর একটু দূরে হার্ডডিস্ক যেখানে ফাইনালি ডাটা সেভ করে। এই দূরত্বের কারণে স্পিড কমবেশি হয়ে থাকে এই র‌্যামের এই সামান্য দূরত্ব দুর করতে প্রসেসরের ভেতরেই কিছুটা মেমোরি দিয়ে দেয়া হয়েছে এটাই ক্যাশ মেমোরি Cache Memory এখান থেকে ডাটা আদান-প্রদান করতে Processor এর সবচেয়ে কম সময় লাগে। এখানে সে এমন সব ডাটা জমা রাখে যে গুলো খুব অল্প সময়ের মধ্যে বারবার ব্যবহার করা হচ্ছে। Cache Memory যদি বড় হয়, তাহলে সে processor এর কার্যক্ষমতা অনেক বেড়ে যায়।

4. ফ্রন্ট সাইড বাস Front-Side Bus (FSB):
Front-side bus প্রসেসর এর সাথে RAM ও ইনপুট/আউটপুট যন্ত্রগুলির দ্রুত যোগাযোগের একটা পদ্ধতি
ইন্টেলের সব প্রসেসরেই বর্তমানে এই প্রযুক্তি আছে। AMD প্রসেসরেও পরবর্তিতে এই প্রযুক্তি সংযুক্ত করা হয়েছে।

5. টার্বো বুস্ট Turbo Boost:
ইন্টেলের চমৎকার একটি প্রযুক্তি সাধারণ প্রসেসরে ডিফল্টভাবে একটা গিগাহার্জ সীমা বেধে দেয়া থাকে যার উপরেও স্পিড বাড়িয়ে ব্যবহার করা যায়। প্রসেসরের রেকমেন্ডেড স্পিডের চেয়ে বাড়ানোকে ওভারক্লকিং বলে। সাধারণ কাজে নরমাল স্পিডে চললেও ভারি কাজের প্রয়োজনে প্রসেসরের গতি আপনাআপনি বেড়ে গিয়ে কাজে হেল্প করে। এই প্রয়োজনে অটোম্যাটিক স্পিড বেড়ে যাওয়াকে টার্বো বুস্ট বলে। কোর আই ৫ ও কোর আই সেভেনে এই টার্বো বুস্ট টেকনোলজি আছে, কোর আই ৩ তে নেই।

6. হাইপার থ্রেডিং Hyper-Threading:
এটা ইন্টেল প্রসেসরের একটা প্রযুক্তি, এর মাধ্যমে প্রসেসরের বাস্তবিক (Physical) একটি কোরকে কাল্পনিক দুটি কোরে কনভার্ট করা হয়। অর্থাৎ প্রসেসরে যেখানে দুটো কোর সেখানে অপারেটিং সিস্টেম মনে করে ৪ টা কোর। তখন সে কাজগুলোকে এই কোরগুলোর মাঝে ভাগ করে দেয়। যদিও ৪টা কাল্পনিক কোর ৪টা ফিজিক্যাল কোরের সমান কাজ করতে পারেনা, কিন্তু একসাথে অনেক কাজ বা মাল্টিটাস্কিং করার সময় এটা চমৎকারভাবে কাজে আসে। ইন্টেলের কোর আই ৩ ও কোর আই ৭ এ এই হাইপার থ্রেডিং টেকনোলজি আছে কোর আই ৫ এ নেই।

7. কে-মডেল K-Models:
এটা প্রসেসরের মডেলের শেষে দেয়া একটা চিহ্ন এখানে K মানে হল এই প্রসেসরটা আনলকড। যার ফলে BIOS সেটিং থেকে ব্যবহারকারী এর ক্লকস্পিড বাড়িয়ে সর্বোচ্চ স্পিড ব্যবহার করতে পারবে যেমন Intel Core i7-4790K .

8. গ্রাফিক্স চিপ Graphics chip:
প্রতিটি ইন্টেল প্রসেসরে বিল্ট ইন গ্রাফিক্স চিপ, বা GPU গ্রাফিক্স প্রসেসিং ইউনিট থাকে এর কাজ হল ভিডিও প্রসেস করা। এটা গেমের জন্য অত কার্যকরী নয়, তবে বর্তমান intel HD Graphics 4400 – 4600 ওয়ালা প্রসেসরগুলোতে হালকা ধরণের গেম চালানো যায়। তবে যত ভালো বিল্ট ইন গ্রাফিক্স থাকুক না কেন ভারী গেম বা ভিডিও এডিটিং এ সেটা খুব একটা কাজে দেয়না। এজন্য গেমিং বা ভিডিও প্রডাকশনের ইচ্ছা থাকলে অতিরিক্ত গ্রাফিক্স কার্ড লাগিয়ে নিতে হবে।

9. জেনারেশন Processor Generation:
প্রতি ১২ থেকে ১৮ মাসে ইন্টেল প্রসেসরের নতুন জেনারেশন আসে।যেটা তার আগের জেনারেশনের তুলনায় একটু বেশি কার্যকরী ও বেশি গতিসম্পন্ন হয়। তবে সব প্রসেসরের নতুন জেনারেশন একই সময়ে আসেনা।২০১৬ তে Kaby Lake U এবং Y সিরিজের এর প্রসেসরগুলো আসতে শুরু করে । ৭ জেনারেশন প্রসেসরের সবগুলো ভার্সন ও সিরিজ পূর্নাঙ্গভাবে আসে ২০১৭ এর জানুয়ারিতে। সেভেন জেনারেশনের Kaby Lake সিরিজের প্রসেসরগুলো এখন শুধুমাত্র বিজনেস ল্যাপটপগুলোতে আছে।

10. থার্মাল ডিজাইন TDP (Thermal Design Power):
এটা হল প্রসেসরের বিদ্যুতের ওয়াট এবং টেম্পারেচারভিত্তিক ডিজাইন। প্রসেসরের বেশি ওয়াট মানে বেশি স্পিড আবার অন্যদিকে বেশি বিদ্যুৎ ক্ষয় এবং বেশি হিট (গরম) । সুবিধা থাকলে কিছু অসুবিধা তো থাকবেই।

11. ভি’প্রো vPro:
এটা হল প্রসেসরের বিল্ট ইন রিমোট ম্যানেজমেন্ট ফিচার যেটা বিশেষত IT ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য তৈরি করা হয় । বিজনেস ক্লাস ল্যাপটপগুলোতে vPro, ফিচার থাকলেও সাধারন ল্যাপটপগুলোতে থাকেনা।

12. Giga Hertz [GHz]
“মনে করি, একটি ইন্টেল Core i5-3330 কোয়াড-কোর প্রসেসরের ক্লক স্পিড ৩গিগাহার্জ। এর মানে হলো প্রসেসিং ইউনিটে ৪টি ইন্টেল i5 প্রসেসর আছে যাদের প্রত্যেকটির স্পিড ৩ গিগাহার্জ করে।”

13.32-bit আর 64-bit
32-bit আর 64-bit আসলে বুঝায় একটা প্রসেসর এক সাথে কতটুকু তথ্য র‍্যামে হেন্ডেল করতে পারে।দশমিকের হিসাবে যেমন ৬৪ বড় ঠিক তেমনি ৩২ বিটের চেয়ে ৬৪ বিট এমনিতেই ফাস্ত হবে, তাই বলে কয়েক বিলিওন গুন বেশি! 64 bit processor চার বিলিওন বারেরও বেশি বার ফিসিকেল মেমরিতে এক্সেস নিতে পারে।

শেষ কথা

প্রসেসর আমাদের ব্রেইনের মত। এটা “আলু”, কন্ট্রোল ইউনিট আর রেজিস্টার এর সমন্বয় । ঘাবড়ে যাবার কিছু নাই। এই আলু সেই আলু না। Arithmetic Logic Unit। সব কিছু বিস্তারিত আর নাই বললাম একটা উদাহরণ দেই। আপনি রাস্তা পার হচ্ছেন। রাস্তার অপারে দাঁড়িয়ে গাড়ির শা শা আসা যাওয়া দেখছেন। হঠাত দেখলেন অনেক দূরে একটা গাড়ি। ভাবলেন পার হতে পারব? এখন হিসাব করছেন। ঐ গাড়ির গতি কত? ঐ গাড়ি থেকে আমার দূরত কত? ঐ গাড়ি আমার কাছে আসতে কতক্ষন লাগবে? রাস্তা পার হতে আমার কতক্ষন লাগবে? আমার কত দ্রুত রাস্তা পার হতে হবে? এই হিসাবে একটু এদিক সেদিক হলে আপনি শেষ। জাস্ট শেষ! কিন্তু আপনার ব্রেইন এত এত ফাস্ট যে আজও, এই লেখা পড়ার আগেও ভাবেন নাই আমাদের ব্রেইন কত ফাস্ট কাজ করে। কত প্রশ্নের সমাধান এক সেকেন্ডেরও কম সময়ে সমাধান করে একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয়। আলহামদুলিল্লাহ! কন্ট্রল ইউনিট সিদ্ধান্ত নেয়, এবং আপ্রপ্রিয়েট সিগ্নাল পাঠায়। কি করতে হবে না করতে হবে।”আলু” (ALU) তে সব হিসাব নিকাশ হয়, আমি রাস্তা পার হব কিনা, পার হলে কত দ্রুত হতে হবে, না কি করতে হবে। আসতে থাকা গাড়ির স্পিড লিমিট ৩০ km/h হলে কত দ্রুত আমি পার হলে রাস্তার অপারে যেতে পারব, আমি গাড়ি আসার আগে পার হব নাকি গাড়িটা পার হওয়ার পর পরি ঐ গাড়ির পিছু হয়ে পার হব । যাই হোক আশা করি পোষ্টটি পরে আপনাদের প্রসেসর সম্পর্কে ভালো একটা ধারনা হয়েছে, কম্পিউটার ক্রয় করতে গেলে কোন প্রসেসর কিনবেন এটা নিয়ে আর হেজিটেশনে ভূগতে হবে না ।।

 

Related Posts

Leave a Reply