সাইবার সিকিউরিটি হলো ডিজিটাল ডিভাইস, নেটওয়ার্ক, সার্ভার, এবং ডেটা সুরক্ষার একটি বিজ্ঞান ও শিল্প, যা আমাদের অনলাইন সম্পদকে হ্যাকার, ম্যালওয়্যার, ফিশিং, ডেটা ব্রিচ প্রভৃতি থেকে রক্ষা করে।
🎯 কিভাবে এই ফিল্ডে দক্ষ হবেন?
1. বেসিক আইটি নলেজ অর্জন করুন:
নেটওয়ার্কিং: TCP/IP, DNS, DHCP, Subnetting ইত্যাদি শেখা আবশ্যক।
অপারেটিং সিস্টেম: Windows Server, Linux (বিশেষ করে Kali Linux) এ দক্ষতা অর্জন করুন।
কমান্ড লাইন: PowerShell ও Linux Shell (Bash) ব্যবহার শিখুন।
2. প্রোগ্রামিং স্কিল:
Python, Bash, PowerShell, C/C++, এবং JavaScript - সাইবার সিকিউরিটিতে এসব ভাষা ব্যবহৃত হয়।
Python দিয়ে অটোমেশন, স্ক্যানিং টুল বানানো, স্ক্রিপ্ট রাইটিং করা যায়।
3. সার্টিফিকেশন করুন:
Entry Level: CompTIA Security+, Google Cybersecurity Cert
Mid Level: CEH (Certified Ethical Hacker), eJPT
Advanced: OSCP, CISSP, CISM, GPEN
4. প্র্যাকটিকাল প্র্যাকটিস:
TryHackMe, Hack The Box, VulnHub, CTF (Capture The Flag) ইভেন্টে অংশগ্রহণ করুন।
নিজস্ব হোম ল্যাব তৈরি করুন VirtualBox/VMware ব্যবহার করে।
5. কমিউনিটি ও ব্লগ ফলো করুন:
Reddit (r/cybersecurity), Medium ব্লগ, YouTube চ্যানেল (John Hammond, NetworkChuck)
Twitter/X এ InfoSec এক্সপার্টদের ফলো করুন।
💼 সাইবার সিকিউরিটি দিয়ে ইনকাম করার উপায়
1. ফুলটাইম চাকরি:
বিভিন্ন পদে চাকরি করতে পারেন:
Security Analyst
Penetration Tester
SOC Analyst
Malware Analyst
Incident Responder
Cloud Security Engineer
2. ফ্রিল্যান্সিং/রিমোট জব:
Upwork, Freelancer, Fiverr-এ Vulnerability Assessment, Web Security, Network Audit প্রজেক্ট করতে পারেন।
Bug bounty প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করে (HackerOne, Bugcrowd) আয় করা যায়।
3. ট্রেনিং ও কোর্স:
আপনি চাইলে অনলাইন কোর্স বানিয়ে বিক্রি করতে পারেন।
YouTube চ্যানেল খুলে টিউটোরিয়াল দিয়ে আয় করা সম্ভব।
4. সিকিউরিটি কনসাল্টিং:
কোম্পানিগুলোকে সিকিউরিটি অডিট, Policy তৈরিতে কনসাল্টেশন দিতে পারেন।
🌐 সাইবার সিকিউরিটির মূল ডোমেইনসমূহ
ডোমেইন
ব্যাখ্যা
Network Security
নেটওয়ার্ককে নিরাপদ রাখা, যেমন ফায়ারওয়াল, IDS/IPS কনফিগারেশন
Application Security
ওয়েব ও মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের দুর্বলতা খুঁজে বের করা